আজ রবিবার, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিতে জড়াচ্ছে হেফাজতে ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন উল্লেখ করেছেন দলটির নেতারা । তবে নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রে সে কথা খাটছে না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজত নেতৃবৃন্দ রাজনীতিতে জড়াচ্ছে। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা নৌকার বিরোধী করে মাঠে রয়েছে।

গতকাল হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাতে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এদিকে হেফাজত নেতারা বলছে জাতীয় এবং স্থানীয় কোনো নির্বাচনে কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে হেফাজতের কোনো সমর্থন নেই।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সাংগঠনিকভাবে কোনো প্রার্থীকেই সমর্থন দেয়নি বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। সংগঠনের কারও সাথে পরামর্শ না করে হেফাজতের সাবেক নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের এক ঘোষণার প্রতি উষ্মাও প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।
আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের (হেফাজত) পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সমর্থনের বিষয় নাই। এটি স্থানীয় একটি নির্বাচন। কেন্দ্রীয়ভাবে হেফাজতে ইসলামের কোনো নির্দেশনা নাই। তাছাড়া হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বাকি সব কমিটি বিলুপ্ত। এখন পর্যন্ত কোনো কমিটি হয় নাই। সুতরাং পুরোনো কমিটির কোনো সদস্য যদি এই ধরনের বিবৃতি দেয় তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দিসে। হেফাজতের সাথে এর কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের সাংগঠনিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয় নাই’
হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উষ্মা প্রকাশ করেন মাওলানা আব্দুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘ওই ব্যাটা (ফেরদাউসুর রহমান) তো বেশি বোঝে। ওই ব্যাটা হেফাজতের নাম কেন ব্যবহার করছে? যদি কাউকে সমর্থন দেওয়ারই হতো তাহলে কেন্দ্র থেকে বিবৃতি দিবে। সেইটা গণমাধ্যমেও জানানো হবে। কিন্তু এইরকম কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। এই ব্যাপারে কাউকে সমর্থন দিচ্ছি না।’

উল্লেখ্য হেফাজতের যে সব নেতারা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত তাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার অপেক্ষা সংগঠনটি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানের ক্ষেত্রে কি করে।